উদয়ান্ত ভুল আর ভুলে
ভরা এই পায়ের সবচেয়ে বড়
ছাপ কোনটা ? আমি বলি
পা'কে দেখ । পেছনে
তাকিয়ে দেখ এই ছাপ ভয়ে
কেউ মাড়াচ্ছে না ।সবাই
পাশ কাটিয়ে ফুলের কাছেই
চলে যাচ্ছে দাগের
অনুযোগ করে ।
এই পর্যন্ত বলতে
পারাকেই হঠাৎ দাঁড়িয়ে
পড়া মানুষের জন্য জলের
আকার দেওয়া যায় ।
কিম্বা আমাদের কোন
চলভাষের বাক্যালাপ যখন
সঙ্গীতের সাথে উঠে গেল
সিঁড়ি বেয়ে , তখন কোথাও
সাইলেন্ট শব্দের
আসেপাশে মিউট করে রাখা
বাচ্চাটাকেও নিজের মনে
হয় না ।
দেওয়ালে হাত রাখলেই
বুঝতে পারি , এখানেও
আরেকটা ছাপ কেমন
দেশোয়ালি গাইতো নিজের
অজান্তে ।
প্রিয় বলে কোন সাহস হয়
না জীবনের ।
আর প্রিয় মানুষ ভাবলে
জড়ো হতে থাকে এই
অঞ্চলের কয়েকটা নদী
মাত্র ।
যাদের পাহারা দেয়
বিকারের মাটি আর পাথর ।
ছোটবেলায় ঘুড়ি ওড়াতে
ওড়াতে দেখতাম ওদের নখের
জানালা কত আদর করে কেড়ে
নিচ্ছে অপ্রাসঙ্গিক
ছাপ,কত তলপেটের নাঢাকা
অংশ । প্রীত হয়ে উঠতো
বনাঞ্চল । এই নিয়েই ছোট
ছোট কয়েকটা ঘর শুধু পড়ে
আছে হাতের
সংসারে।খানিকটা
ডালাপালা সমেত আমাদের
বেহিসেবি ছায়াসুখ
।পরেশদার বৌ পাখি
চেনাতো আমার
বন্ধুদের।আর ওর চোখের
চারপাশে ভিজিয়ে রাখত
রাতের
অদিখ্যেতাগুলি।তবু
বোঝাপড়ার একটা চাদর
।গাছের গোড়ায় জল ঢালতে
ঢালতে মাথায় তুলে রাখা
আঁচলের ছপ ছপ ছিল
সুজাতার মত ।
সেদিন নৌকায় মাঝি থাকতো
না । খালি জ্বালানো
লন্ঠন নিয়ে কেটে যেত
দূরের হাইওয়ে থেকে
ফিরিয়ে আনা অভিমান । আর
কাচের
রিফ্লেক্টারগুলি।আমরা
টানতে টানতে নিয়ে আসতাম
স্পার । কাঠের ইতিহাস
।
বাড়ন্ত মাসের এই
পৃষ্ঠার গল্প আজও ছোঁয়া
ছাড়িয়ে যায় দরজার কাছে
। দরজার পাশে । কোন
সম্ভবনাকেই কোনদিন
বুঝে ওঠা হল না আমার ।
শুধু রং করার খাতা
খুঁজেছি আর ভেবেছি
মেলায় হারিয়ে যাবার কোন
আনন্দের সাথে দশমীর
ঘাটে হঠাৎ কেন মনে
হয়েছিল ...... আমার সমস্ত
ছাপানো জড়িয়ে তুমিই
আসছো মায়ের বিসর্জন
দিতে । বাকিগুলো মুছে
দিতে ।
অপদার্থের রেহাই শোনায়
লম্বা বারান্দা ।এইসব
ভ্রান্তি নিয়ে
তবু ভাল
দেওয়ালে এখনো
ওয়াটারপ্রুফ লেগে আছে ।
ওর গায়ে তাই অর্থ ধরে না
। জলও
লাগে না ।পাখা দিয়ে
হাওয়া দিলেই হল । সব
ঘুমিয়ে যাবে । সবাই
ঢুকে পড়বে ছাপের ভেতর
।
শুধু তুমি কিছু বুঝে
ওঠার আগেই এই
মধুচন্দ্রিমা মুছে
দিতে গিয়ে
আমিও সাড়ার জন্য ভয়
পাচ্ছি এখন
ভাবছি,কেন অভিমান আর
ডাকছে না আমায় ।
কেন দাগের মানুষজনকে
মিউট করলে সমস্তটাই
সাইন করে নিচ্ছে মনি
ছাড়া । প্রত্যক্ষ ছাড়া