জন্মমাস মূলত আষাঢ়

স্বরলিপি ও অনরণ্য

স্বরলিপি

১. আমাদের কোয়া কোয়া জীবন

তুমি আরতদার-
গন্ধম তোমার কাছে একটি গল্প মাত্র?

কামের ফোয়ারা বেয়ে নেমেছে মানুষ
শরীরজুড়ে গোপন শীতকাল, তবু
মখমল ছোঁয়ায় ভাঙে-গড়ে পিঁপড়ের ঘুম-




২. জন্মমাস মূলত আষাঢ়

জলপায়রা উড়তে শেখে
পেখম খুলে রাখে মা
একটি করে কদম দেয়
ষোলটি কদম পাওয়ার পরও মনে হয়-
নাগলিঙ্গম তলায়
অন্ধকারের রেশমপোকা হই।
বৃষ্টিবোনঠশরীর
ধুয়ে, নেয়ে, ঘেমে
হয়ে উঠুক-উর্বর জমিন।

************************************



অনরণ্য

মুক্তি

সিসা গলা অন্ধকার নিয়ে রাত ছড়িয়ে আছে এখনও। যতদূর চোখ যায়,একটু আগুন রেখা বাদে বাকিটা ধূসর। রাত্রি তৃতীয় প্রহর! এক ফার্লং দূরে একটি সারমেয়,আর শবদেহ ওপর রাখা জবা ফুল,কারণবাঠ°à¦¿,আর কিছু গুহ্য মন্ত্রোচ্ঠারণের মধ্যেই ট্রেন ছাড়ল,à¦²à¦¿à¦™à§à¦—à §‡à¦¶à§à¦¬à¦° স্টেশন থেকে। যাত্রা পথে অনেক স্টেশন,প্রঠ¥à¦®à§‡ ধীর,তারপর দ্রুতচলনে এগিয়ে যাবে ট্রেন,গাড় হয়ে আসবে শ্বাস প্রশ্বাস। আর,লোক উঠবে,নামবে, ¦•à¦¿à¦›à§ আয়েস,কিছু বিকল্প সত্তার মত সকালও হয়ত...ঝিক ঝিক।

শিশুকালের আকাশ রাঙিয়ে সুর্য ওঠার কথা, কিন্তু আকাশের মুখ থম থমে। প্রতিটি হাইবারনেশঠ¨ শেষে যেভাবে কিছুক্ষণ থম মেরে থাকা,তারপর সুস্থতা এলে,চেনা বা অচেনা প্রকৃতিতে স্বাভাবিক,ঠ¤à¦¾à¦°à¦ªà¦° দ্রুত চলন...কেবল এই জার্নি রুটের নাম যেহেতু মোক্ষলাভ,à¦¤à ¾à¦‡ ট্রেন চলেছে ধীর কিন্তু স্টেডি,যাতৠà¦°à¦¾ শুরুর সময় যারা থাকেন,আবেগ ,সংশ্লেষ অথবা মায়া নামক গ্যাস বেলুন হাতে,তারা এখন আর নেই। এখন দৃষ্টি পথে কেবল অস্বচ্ছতা,à •à¦ªà¦¾à¦² বেয়ে যে ঘাম নামছিলো,à¦¤à¦¾à °à¦¾ শুকিয়ে গেছে পথেই। এ পথ মূলত কঠিন,এবং শক্তের,à¦®à§à¦¹à à¦°à§à¦¤à§‡à¦° ভুল ও ডেকে আনতে পারে বিপদ,তাই অতিরিক্ত সতর্কতা,ভুঠ²à¦•à§à¦°à¦®à§‡ যে পায়রাটা ফ্রেমে এসেছিলো,à¦à¦²à ¦¸à§‡ গেছে। এখন তার পালক পুড়িয়ে ছাই,আর কারণ মিশিয়ে লিখে রাখার কথা শত্রু স্টেশনের নাম। অবশ্য পাঁচ বার লিখে,তাও পুড়িয়ে দেওয়াই রীতি। অতএব কিছু উষ্ণতা জন্ম নিলো,ঝাপসা হল সাইন বোর্ড নইলে দেখা যেত বাইরের স্টেশনের নাম,ষোলো গ্রাম। কেউ কলা বা কেউ বাতাবী লেবু বেচছে,শাঁখ ¦¾,সিঁদুর,নোৠŸà¦¾...তীর্থস্থ ানে যেমন হয়।
এখন সকাল ছুঁচ্ছে দুপুর। মধ্যাহ্নেঠএই তপ্ত কালে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে যোনী নাম্নী নদীর ঠিক ওপর,নদী, মানে নদীর শব, বলাবাহুল্য এ ট্রেনটি নিতান্তই অনাড়ম্বর, পোশাকহীন, কেমন গমনেচ্ছাই তার একমাত্র অধিত লক্ষ্য। দুপুর ঘন হয়ে আসলে,mà¦¶à§à¦¬à¦¾à¦¸à ¦ªà§à¦°à¦¶à§à¦¬à¦¾à¦¸à§‡à¦° দ্রুততা বাড়ে, এখানে অবশ্য তেমন কোনো লক্ষণ নেই। দৃষ্টি সামনের দিকে নিমীলিত,শাঠ¨à§à¦¤ ও স্থির। কেবল রেতঃপাতের মত কিছু ধোঁয়া ওপরে উঠে যাচ্ছে থেকে থেকেই,স্টে শন মানেই কিছুটা থামা তা নয়,এ এক অন্তবর্তী মাধ্যম মাত্র,লক্ষৠà¦¯ কিছু দূরের বাহান্নঘুঁ টি। ট্রেনের চলার পথের যা কিছু উপকরণ সবই মজুত,আসলে তেমন কিছুই না,এতো সহজ হবার পন্থা মাত্র! মনুষ্য করোটি,à¦•à¦¾à¦°à¦£à ¦¬à¦¾à¦°à¦¿,ধুপ,ধুন ো,তেল আর সিঁদুর...এখন মৃত নদীর পাশেই ট্রেন,আকাশ রেখার কোথাও চিল শকুন ও নেই,কেমন এক থমথমে ভাব।

বাহান্নঘুঁ টি পেরিয়ে ট্রেন চলেছে,পায়ূ বা যোনী স্টেশন ফেলে এসেছে অনেক আগেই,প্রবল এক ঝাঁকুনি ও সমস্ত শরীর দুলুনির মধ্যেই রাত নেমেছে,সার ¦®à§‡à§Ÿà¦Ÿà¦¿ মুখে করে নিয়ে আসছে কিছু অস্থি,এবং মস্তিষ্কেঠ° অংশ বিশেষ,এখন সায়াহ্ন পেরিয়ে ভক্ষণকাল,à¦šà ¾à¦°à¦¦à¦¿à¦•à§‡à¦° অন্ধকার মায়ের আঁচলের মত ঘিরে ধরেছে,ট্রে ¦¨,এ তো নীরব ভক্ষণ কাল,কারো দৃকপাত ও যেন না হয়। ট্রেনের গতি এখন সময় রেখা নামক স্কেলের বাইরে,সময় সময় কাল,'আমিই সময়,আমিই মৃত্যু! মৃত্যু থেকে মোক্ষ,যা যতটুকু...à¦ªà¦°à¦£à §‡ মুন্ডমালা,ঠক্তি,শাক্ত, ¦¶à¦¿à¦¬,শৈব,কাল,à •à¦¾à¦²à§€,কাল ভৈরব...একটা অব্যক্ত গোঙানির শব্দ।

রাত্রি প্রথম প্রহর। ট্রেন পৌঁছতে চলেছে অনন্ত নামক স্টেশনের পথে,কেউ কেউ মহাকাল বলেও ডাকে,এ দৃশ্যে কাম,মোহ,মদ,ম ¦¾à§Žà¦¸à¦°à§à¦¯ বা লোভ নামক ব্যক্তি বা সমষ্টির প্রবেশ অসম্ভব,à¦•à§‡à¦¬à ¦² একটা যাত্রা,ঐ নাতিদূর অনন্ত অভিমুখে,জল পায়রা,এক কদম দু কদম ষোল কদম আর প্রবল এক বিস্ফোরণ,ঝঠ²à¦¸à§‡ যাওয়া আলো,এটমিম বম্বার্টমৠন্টে যেমন হয়...
১০
৯
৮
৭
৬
৫
৪
৩
২
১
ট্রেন আর নেই,অঘোরী পথে দৃশ্যরেখাঠ° অতীত এখন সেই ট্রেন,
সারমেয়র মাথায় চেপে একটি শ্বেত কপোত,যা এবার আকাশে উড়লো,একাই...