১
নিজের প্রতি স্বচ্ছ
থাকতে চাইছি
যেকোনো শব্দের অনুমান ও
স্পর্শকে ধ্রুবক রেখে
দেখে নিচ্ছি কীভাবে
জমিন
খোলা পাল্লার দিকে ঢালু
নেমে যায়
শক্ত করে ধরে অবশিষ্ট
স্নায়ু
আর দরজার ওইপাশে তখন
অন্যকেউ হয়ে ওঠা বাকি
আমাদের
শিথিল পেশী, ঘাম, লালা
ঘেঁষটে
বাকি অনেকটা গ্রাহ্যতা
এইসব পুনরাবৃত্তির
পুনরায় আসে। নিজের
প্রতি না-লেখা উপেক্ষা,
মসৃণ দড়িতে টানটান মেলে
রাখে আচমকা ছেঁড়া
পুঁতির মালা। কোনো এক
গোধূলির আগে কার্যত
হারিয়ে যাওয়া বাক্য।
মুখভর্তি অবসাদ নিয়ে
দেখি তুমি গাঢ় ঘুমের
কথা বলছ। যেভাবে নতুন
পাঠ্যপুস্তক মলাটের
গায়ে সাজিয়ে নেয় রঙিন
মাছের চোখ। অথবা
উজ্জ্বল আলোর দিকে
ধাবমান টকটকে তামার
বাসন। আঙুল ডুবিয়ে ওর
ঘনত্ব বুঝে যাই।
নিরুত্তাপ দৃষ্টিতে ওর
খসে পড়া অক্ষরের ধুলো।
একটা তীর্থযাত্রা, একটা
ভবিষ্যৎ, কারো পায়ের
পাতা লেগে ছিটকে গেছে
অচেনা শহরে। সেখানে
পরিব্রাজক লিপির গায়ে
শীত। আর কে যেন সামনে
এসে দাঁড়ায় ! সেই
স্থাপত্য, সেই আড়ষ্টতা,
খুঁজে না-পাওয়া স্মৃতির
মরিয়া মুখ।
একসাথে চলার মতো কিছুটা
স্বচ্ছতা এবার।
সন্ধ্যে নামার আলোয় যার
নির্জনতা মায়াবী হয়।
শেষ নাটকের দৃশ্যে,
ফাটল বরাবর পিছু নেয়
দুটো বিস্ময়হীন মানুষ।
তাদের ফ্যাকাশে দর্শন,
চওড়া কাঁধ আর মেঝেতে
ছড়ানো সংখ্যারা দূরাগত
ধ্বনির মতো নিভে আসে,
বহুদিন পর।
২
গন্তব্যের জন্যে
এতোকিছু হলো। তবুও
ভাবীকাল নিয়ে কথা এলে,
ঘুরে দেখি, সবটাই
ক্ষণস্থায়ী বসতি।
গ্রহান্তরের দেওয়ালে
ঝোলানো তীরবর্তী নীল।
পর্দার ওইদিকে কোনো গান
ছিল না। যেখানে দাঁড়িয়ে
সময়ের বিমূর্ততা নিয়ে
ভাবতে পারি। সামনে
ঝুঁকে আসার আগে তুলে
রাখতে পারি উদভ্রান্ত
বরফের বিন্দু। দৃষ্টির
বাইরে থেকে যাওয়া
অব্যক্ত প্রকাশ।
জংলা হাওয়ায় গলে
আসে তোমার টুকরো
অনুষঙ্গ। তীব্রতার
বিপরীতে যে মাংসল রেখা
তোমাকে সরিয়ে দেয়
ক্লান্তি ও চিৎকারের
আবেদন থেকে...তাকে
নগ্নতার বাইরে চলে যেতে
দাও। বরং নিজেকে গুছিয়ে
তোলো যেখানে কোনো
পরিশুদ্ধতার আশংকা
নেই। যেখানে
ক্যাথিড্রালের
বারান্দা একটানা লাল।
বুনো বৈঁচির রেশে জমা
ঝোপ। পরিত্যক্ত।
হাত জড়ো করে এরপর
প্রত্যাখ্যান হতে
শিখবো। গড়িয়ে আসা
রক্তের মতো ছুঁয়ে থাকবো
তোমার পেন্সিলের খসড়া
লেখা । নিথর সমাধিগৃহ।
---------------------------
# Photography by Norman Kulkin