বর্ফানি বাবা
বরফের মনে বরফ পড়ছে
তখন সাদা কালোর যুগ
পোড়া মন
এসব কথার কথায় খুব
রোমাঞ্চ হবে যা
ক্যামেরা পারেনি
এবং
এবং
এবং
কত কাল ধরে নির্জন
মানুষের কানে
উদ্বাস্তু গুঞ্জন
তাদের গুম্ফা
তাদের বর্ফানি বাবা
যেদিন তোমাতে আমাতে
আলোতমা আলতামাশা
আলতামিরা আলকায়দা খেলা
চলছিল
আর তোমাকে বলছিলাম
বনসবুজের তৃণ নয়
মধুকুপি ঘাস আমাকে
দেখিও সোনা
কাচ ভেঙ্গে যাবার পরেও
গেলাসের জলে নামছিল
একটা দানারং-এর সবুজ
পরিচ্ছদে কলম গোঁজা আর
কোটরে চোখ
বন্যা আর অবন্যার দেশে
এরকম দখল নিচ্ছো ওগো
ধোঁয়াময়
সাউন্ড সার্কাস
ছায়া ছলছল গাছ
এবং কুয়ো না বিয়ার হো
হো
পান্থের গোপন রেয়ালা
আররম পাররম
রঙের পুনর্জন্ম
হচ্ছে
বুদ্ধির কুডাকগুলো
হেঁটে গেল পাটিগণিতের
ছকে
কেয়সে জোর খাটাচ্ছে
কেউ
সব সরলরেখায় নকের
টার্ন
সাউন্ড
সার্কাস
সব মাইরি করে দিচ্ছো অল
গায়েব
একটু জড়িয়ে আছি
অংশত ভাবো
কয়লার মধ্যে হীরে মানলো
না
পান্থের কাট-আউট
ফসিল
মানলো না
হাওয়া
আসতে দিও
আস্তে পাললিকাল
চুমুটাও খেয়ো
শব্দের মানে
যেমন ইথার শব্দটার
মানেই আমরা জানতাম না
প্রাণ শব্দটা
ভালবাসা ঝুমকে আছে
অমলতাস
আর চমকে যাওয়া ঈশ্বর
আমাদের শান্ত থাকতে
দাও
যেমন ঈশ্বরের মানেই
আমরা জানতাম না
তখন আমি ঘুরে দাঁড়াই
তখন আমার পা-ও ঘুরে
দাঁড়ায়
পৃথিবীটাই ঘুরতে থাকে
টের পাই না
দরজা ঢোকার আর বেরোবার
দরজা বদল হতে থাকে
একটাই সুড়ঙ্গ আস্তে
রঙ্গীন হয়ে যাই
পাখি-কলোনি আমি একদম
চাইনি এখানে
গাছে ফুলের
গন্ধ
গন্ধের কোন নাম নেই
শহরের নামগুলো
প্রিয়বন্ধুর নামে বদলে
যায়
তখন মনে পড়ে আমার শহর
সুলতা
কবিতা একটি
প্রণালীর নাম
কবিতা প্রণালীর
মধ্যে গড়িয়ে এল কবেকার
প্রাম
প্রেম
কোন টানে
এসেছে জাদুঘরের দরজায়
সুন্দরীকে
সুন্দরীদের যাঃ
জাদুঘরের ভেতরে ওদের
মুর্তি মানামানি
বায়ুবিনা বীণা
বাজনালয়ে
পললের পল পলকের হাস
মুখের পাতায়
দেয়াল নেই
ফ্রেমটা নতুন
প্রেমের খোঁজে
চাঁদ নেই হারেরেম
গুরুম চাঁদমারি
মরিবের ছাঁদ
এবং মারিবে
দুজনেই ভিনয়ে মানুষ
তোমার কি মনে হয় একদিন
প্রামরাও রকরকার
#
এখন ফাগুন চলুক
বনে
লাগুক মনের আগুন
কবিতা প্রণালীর রক্তে
বনের রূপক
রূপম হয়ে
যাক
———
দাদুরী
লা-টাই প্রথম পথৌ পথাঃ
পন্থা
কহন কথানো
এর মধ্যেই পথের নোভা
লো করোনা
তুমি ঘুড়ি ভাবছিলে তো
সুতোকে তার
যে ভাবে হরকত জাগে
সহজে
জানলা দিয়ে ভেসে আসে
কাদের সাহানা
সব আলো আগুনের
তোমার সর্ব সরব অঙ্গের
বিভা তাও
চোখের আলো
না জেনে জেন
না শুনেও যেন বিগ বেন
বর্ষাকালে যখন
ব্যাঙেরা দাদুরী হয়ে
যায়
———-
ধোঁয়া বোনা
সবে আলোর অধিক শীত
পিপাসার খোঁজে অনুতে
তনুর ভঙ্গী
জানালাতে সদ্য ফোটা
দুচোখ দুদিকে
জড়ানো ওমের দিন
বৃষ্টি ফিরতিয়া
আপনি বড্ড অমানুষ
লাগছেন এই বিজনে
সিন খেলছে টেন
ট্রেনেরা
তারে
টাস্কারে
টায়োস্কোপের ভেতর থেকে
ফোলিও ব্যাগ কাঁধে ডান
পা
পা খোয়া আজ
একা তুম
ঐ ঐ ঐ
একা তুম তুম
এই যে সারাদিনের মনে
মেঘ মিছিল
শ্রাবণকে চুলবুলবুল
শাওন শাওনা দিনা
এই সব নিঃশব্দগুলো
ধোঁয়া বুনে যায়
কোন কথা নেই কেউ নেই
বিজন্ত তো … …
————
কলাই করা চাঁদ
তেতে যৌনমুখর
বায়ুনাল পরা টপক
রিপিট টপক
হাওয়া গুঁড়োর গুন গুন
গায়ে গাওয়া
যেন জেন-এ জার্নি
লিঙ্গনে ফিদাই
চোখের মণি মণিময় হল
যেদিন
কলাই করা চাঁদ বিক্রি
হচ্ছে খুব
সেদিনের কথা
গন্না
সুগার
বড় বাঁশি
কলঙ্কের মনেই ছিল
ভাস-এর তোড়া চিঠি
মুখ বুক দুইই
শীতগ্রীষ্মে তোলা
ছবির
মদ গো লাপ
আর মেয়েটি দিলো না
একগুচ্ছ কবিতা
প্র ণ য় ধ্ব নি র স ফ্
ট্ ও য়্যা র
বিদ্যুতটি উঠতে গিয়ে
পড়ে গেল পায়ে
খলা সায়া গায়ে
ভাবান আর ছড়িয়ে পেল না
মাথা
এই স্থির বিদ্যুৎ স্থির
মানুষের চুল
কিছুই হারাল না দীনাদীন
কাশ আকাশ
চোখের ভেতর থেকে গেল সব
মেঘ
চাঁদ আজকে হাফপ্যান্ট
পড়েছে
মুন হরমোনে তৈরি হচ্ছে
মানুষদের মধ্যে আমার
মিছিল পা
খোকা চাঁদ নড়বড়ে হাঁটছে
তুফানশিল্পের
দাগগুলো
আন্তর্জাল আর হাহাকার
লুকোচুরি খেলছে
মন ভারি হয়ে এলেও দেখে
সুখ
কটকের বিদ্যুৎ অসুখ
মাছরা তো এখন ফুটবেই
কার্টুনে
ফুতবে চোখের চমক ফিন
ফিন ব্যাকুল বিশ্ব
এবং সূর্যের উল্টোদিকে
আসবো একদিন
প্রান্তর ফান্তর
মনোরমাকে পালতে দেখা
মারনোম
মারনোম আমাকে বাজাচ্ছে
এখন
ঘাড় পিঠ পাছা গোড়ালির
কমন ছবিতে অস্পর্শ
ওঠা জলের ওড়িয়া ঢেউ
সন্ধ্যা শাঁখে
বারকোষের বাঁকা ছায়ার
উইন্ডোমিল
শালিক
সফটওয়্যার এপর্যন্ত
বাকিটা প্রণয়ধ্বনি
বাজছে
ম্যাট্রিক্স
এতজাড়ার ক্ষণমৃতরা
গল্প করছিল
ফেলছিল গপন করা
নিশ্বাসগুলো
তারই অনুকাঁপন এই সব
আইসক্রিমে
নাও ঢোকো
দরজা খুলেই ঢুকে পড়
আমি আমার বাবাকে নিতে
এসেছি
তোমাকেও
নাক আর কানের ইন্দ্রিয়
এখন কিছুটা জিভে
এখন মৃতদের জায়গা বদলের
সময়
গাছে পাতা হয়ে ছিল
নেমে এসে এখন মাটিতেই
পাতা চোখের কাছে
নিচে ভেসে নেমে আসা যদি
দেখো
যদি বোঝ কেন এসব কথা
বলছি
এই বাংলা ম্যাট্রিক্স
তার মুখে মন
তার সঙ্গম
তারে তারে ইলেকট্রনরা
যাচ্ছে
পাখিদের কিছু যায় আসে
না
শটের পর শট দিচ্ছে
ক্যামেরায়
সেজে উঠেছে পরের
ম্যাট্রিক্স
মোমেন্ট
স্লো মুভির জন্য এই
ঘড়িয়াল ফিট
ট্রাসটা স্লিপ করছে এত
সোজা বোঝার সময় নেই
নিদ সিঞ্চন ছোঁয় না
কিছু আর
স্তনান্তে হাতের ফিলিং
ফুরোল তাই
একা যাবো চবুতরায়
চবুতরা যাকে বলে জানি
না
রূপকথার ভেজা ঠোঁটে
ছেলেবেলাকার জিভ
খাস গান
আম গান
প্রাচীন ভিখারি এসে
দাঁড়াতো দরজায়
সিনটা সিনটায়
রূপকন্যে
আর নেই
শুধু ধুন তেরেনুম আর
কানঘুমের বহেরা
পিছল জোড়া চোখ
শুধু ছোটা
সেই পড়ন্ত আস্থার কি
হল
মুধু-মম নয়
স্নেহের মোমেন্ট আঁকা
কোলের অঙ্কখানি পড়ুক
দে ন লা
আহ্লাদ
পই পই
চাই চাঁদ জানে না-র
পাখনা
গলি ফলি শিশুটি অযত্নে
যুবক হবেই দেখো
দাড়ি গজালে চাইবে পাখা
ধীর পাখোয়াজ
একা তুম একা তুম তুম
একা পাহাড়ে জল নামে
পোষা শ্রু
শ্রু নামের নদী
নদী না নালা ড্রেন
লাদেন
Thenলা একটা পাহাড়ি মুভির
পথ
খুঁজছে কেউ
মে নু কা র্ড
টেবিল থেকে আমার মেনুময়
মাথাটা তুলে
চোখ পরালো কেউ
কানের মাথায় চোখে বুদ্ধ
রেটিনায়
কম্পুটার ভেসে উঠলো
তার প্রণয়ধ্বনির
সফটওয়্যারে কান পাতা
এখন
খাওয়া দাওয়া চুলোয় গেছে
মেনু খেলতে খেলতে
রাতকে অরাত করে
মনের মৌন বেড়ে যায়
এইসব ঝাঁকিদর্শনে আঁকা
যত এক্কা দোক্কা নদী
জল রয়
জালি মেয়ে
নেয়ে
নৌকাটি গায়নাচে
গ্রাফিক্স গ্রামাফোন
গ্রাম ফ্রাম ক্লিক
ফ্লিক
আমাকে মদ করেছে
কাবাব চিরতর
ওপারে যাবার খোয়াব
ভাঙলো বলে
সাঁকো তো কোথাও যায় না
এমনকি জলটাও নকল
জলের জলপনায় কূল চলে
যায় নদীর
তর্জনীতে যোনিতে
মাউসনামা চাপলেই
ইন্দুর ইঁদুর গন্ধ ছেড়ে
যায় আমাকে
তুমি তার খোয়া চাঁদে
বিন্দু বসালে
সে তো খিললো না
ঝিঁ ঝি ভা বে গা
ন
গপ্পো — শিশু-ভী-আশ
জমিয়ে বসেছে পশরা
আলো — সি কমলারঙ রোদে
কমলা লেবুর মাদুর
শব্দ — তার ওপর গোটা
একটা ছবির নিইজমজম
লহরা
দৃশ্য — কাঁদছে জ্বলছে
গড়িয়ে যাচ্ছে মন্তাজ
সম্পাদনা — কে যে আগে
ঘিলু আগে দাউ দাউ
আগ মাড়ানো ঘিলুর ঘন্টা
পালা ক’রে
ব্রেক মেরেছে দমকল আর
ভলকানোর হিট মুভিত
ঝিঁঝিভাব ইতিরিক্ত হল
কিনা সম্পাদক খুঁটিয়ে
দেখছে
দর্শক — দেখছে রূপকটির
রূপ খুলবে কী করে
গাইয়ে ব’লে কথা ছিল
এবার যৌনগা
বান বাণী আই ঢাই করা
হাসিতোষ
পশরা প্লাস্টিকে
আলালের দুলাল
সাংবাদিকে
একটু খিস্কিয়ে
মা-বোন মা-বোন করছে
বাচ্চারা
ট্রেনে যেতে যেতে তুমি
দেখেছো
বণালী টেনে ছিঁড়ে ফেলছে
ওরা
আর তোমার কষ্ট হচ্ছে
শো না টা
নিরজন নদী আর নিরনদী
জল
একলানা
চিলমন নামী চিত্রগান
কপি করছে জলের শোনাটা
আর সোনাটার ইনফিউশন
তার বাতাসচেরা আকুল
বিকুল জিভ
রব রবি নাই নাই করা
ছায়াতলা বাড়ি
গুমগুমি গিরিবাজ
সিটি খেয়ে উঠেছে আর সেই
উঠেছে
মনে মজায় বেশ্যাবাসী
ওংকারে মন্তর
নদী বদলে যাচ্ছে
ক্ষীণে
ক্ষীণকলিটির
তারানোভায়
তারা আর আমাদের কথা
শুনল না
সেই ওশনের কাগজে
বাহিনীর ছবি
খবর পড়ছে
চোখে
বৃক্ষ ফোঁটা ফোঁটা
তর্জনীর শব্দ
কেবল তর্জনীর শব্দ
কা ঠ গ ড়া
এইখানে একটা কাঠগড়া
ছিল
দু একটা বনের জাদু জাজ
আর ভেতরের আমি
সেকেন্ড হ্যান্ড
তানপুরা তার টান ঠ্যাকা
ইত্যাদি
এইখানে একটা জানালা
ছিল
বাইরে ছিলাম আমি
আর একটা শ্যামলা পাখি
মাঝগুমড়ি মেঘে রংগুমোর
কে মাখালো
চিনি না
হাতের পিঠের মাথার পাখা
কারেন্ট কাহিল
হিলটিলায়
ডোডো বনকা
মনশেডিং
কোমল কড়ি তাও দূর গলায়
এত সিম্বল লাগে
সূর্য এবার সক্রিয়
ভাল লাগছে উদয়াস্ত যৌনি
রক্তরেখে
প্রসবপ্রয়াসীর ডাকা
ডাক
বায়ুকোণ থেকে
উল্টোরোদের আকাশে যখন
সব পাখি ঘরে ফেরে
তোমরা দেখেছো কিনা জানি
না এক আর শূন্যে
লম্ব আর বৃত্তে
মানুষ মানুষির বাইনারি
অংক আর নাকচ অন্তমিলে
আ উ লি পি
যদি এই সে লিপি বুঝে তার
যা তখন এইসব
একজনের একটা বাজে
কবিতার প্রতি লাইনের
প্রথম অক্ষম নোট করলাম
অক্ষম বলেছি কিন্তু ফলে
একটা আউলিপির লোকসানাই
জোড়া
টাউন তারার আকাশ আর
তার পরের ছল্লারাতের
মই
ক্যারমবোর্ডের তিন
স্ট্রাইকের পরের
দৃশ্য
সরলরাখার পৃথিবীতে
তরীনাচ দ্যাখো
তরীনাচ দেখো
চঞ্চল পাখির মনে উড়ি
উড়ি পাখিটি
উড্ডীন রেখাটি
বাড়ির ছাদ অনেক নেক
উঁচু
নভ সম্পাদনার জন্য
সাজানো গথিককাল
বন্দুকহীন বুলেট বুকের
পকেটে
মোমবাতি মেশা নেশানো
সম্পাদক ঘুমিয়ে পড়ছেন
স্লা ই ড শো – ১
এমনিতে অপরী ছিল
পরিমান লুকিয়ে হল পরে
তোলা তার ছল পাতানো আড়ি
বাড়ি বাংলা মেশানো ছাদ
ঢুকু ঢুকু নির্মাণ গেলা
পাহাড় গড়ানো গেরাম
যেমন নড়বড়ে সিঁড়ি
আর আকাশের স্লাইড শো
চলছে
কেবল ছাদটায় রেডি সেডি
গো বলছে না কেউ
যেন মরুক গে
বাংলা পিতে পিতে খরায়
বানে উত চলেছে উন্মুখ
আকাশে কেউ থাকার জন্য
আসে কি আর
পরীকে ভালবাসে
ছিনিয়ে নিয়ে যায়
রূপকথাহীন কিশোরীর
গায়ে বাড়ে অচেনা রূপক
আমরা বাংলা খাই বাংলা
পড়ি
আর গ্রামটাকে গড়িয়ে
পড়তে দেখি
নি স র্গে র ন ব
বনদুপুরের রোদে বিনিয়ে
যাচ্ছে দাদুর টিয়ানো
পিয়ানো পি
আর ভঙ্গরণের ভঙ্গী ফেলে
যাওয়া পেরাম্বুলেটরে
এক্কা দোক্কা ছায়ার
স্মৃতি এমন শব্দহারা
এই কবিতাটির মিলনকলায়
আমি নেই
যেন দু-একটা গুলির
শব্দ
আর্কাইভের জীবন পথের
জীবন
জোকার দেয়া বিয়ে
রক্তপাতের পরেও
দাঁড়িয়ে আছে হিন্দী
ফিল্মের পাহাড়
নিসর্গের নব হাতে পড়েছে
খোকন সোনার
যা দু ঘ র
বৃষ্টি যখন ভিড় করে
আসে
আঁখ রোশে
রেনিডে পায়ের তুলতুলে
তখন তমাকে চম্মক
ট্রেনদোলনে
সমস্ত খুন ঢুকে তখন পড়া
বইকে রাঙিয়ে দেয়
গোয়েন্দারা বেরিয়ে পড়ে
ট্রেনশোলার ছদ্মে
আগুন যেমন ভালবাসে
প্রতিবেশকে
বেডরুমের অ্যালার্ম
বাজতে থাকে তোমার
উলঙ্গে
তোমাকে আরো বেশি করে
পাই যাদুঘর ভিজে গেলে
ঋণ ছোটো কবিতা,এখন
বাংলা কবিতার কাগজ
প্রকাশনী
বৈশাখ হে
বৈশাখের কাল
কালবৈশাখী চাদ্দিকে
এমন দিনে দিবসে আর
লিঙ্গ ফোটে না
রমণী আর
যোনিগন্ধা-ফন্দা
মধুর করো হে
চোখে চোখের প্যানে পানি
হয়ে জল হয়ে
ম্যান কেয়া মেরা
মেরা মন
তার উদাস বাউলা বিষণ্ণ
দোতারা মার্কা হাসি টুং
টুং
অভ্রতে কার হসন্ত
মিঠু কান মনমিলন
বোবাকথা আর ঈশ্বরকণা
যেটুকু
বধিরের বোধ জার্নি
অংকন কেলাস
হয়
হয়
হয়
আমি নিজের স্মৃতি শেয়ার
করতে জানি না
দেউলিয়া
নেই
তাই পথ হাঁটছে
লো আর আলোক্রম
চলে যাচ্ছে চাঁদ ডিম
হলে
বেচারার ভালোবাসা ফেলে
চলে যাচ্ছে মিং মিং
বিপাসনার
দেউলিয়া হবার সাইড
এফেক্ট এগুলো
দীর্ঘ বালিকাবেলা হু
হু
পেরিয়ে গেল তোমাকে
ছেড়ে
বুক পকেট
কূউউউ
একালিঙ্গ
ফ্রকের ভেতরে তুমি নেই
সুদৃশ্য
স্তনযুগে বেড়ে ওঠে ভাল
লাগে এমন টায়ারিং
দেউলিয়া হবার সাইড
এফেক্ট এগুলো
ঢেউ দিলো ঢেউ
জলপথ আর জলের পথের
তফাৎ
আলোকিত আলোহীন
মানুষ
এসব তাকেই বলা জলৌকা
আসতে আস্তে এসব মনে হল
এই এলোমেলো হাঁটাচলার
জন্য তুমি পথ বানিয়েছো
কথাটা উঠতেই বুঝি তোমার
নদী চলল ওই
এত কলকল করে নীরবতা
একটা সে
আর ধানগাছে
না
ঢেউ দিয়েছে সবুজ
এই এখানে দেখছে
অদূরবীণ
ফুলপড়া বাঁশি
চারণবাঁশির নালায়েক
এসে দাঁড়িয়েছে
বাসস্ট্যান্ডে
তার বায়োলজ্জিত হাসির
গ্র্যাভিটি কেন মোছা
রান্নায় গীত পরমায়ু
হেনার ওপর হেনা
নাচে
উঁকি ফুকি
মন মানে না তবু
ঠুনকো পলকা পলের পাবলিক
একটু ঘাবড়ে গেল
বাসের স্ক্রিচ
বন খুচুরা
বাড়ির কথা
বাঁশির শব্দে গেল গেল
ছিনতাই
ছিল
তাই তাই
আর ফুল পড়ে দিচ্ছে
ফুল্লরা
নতুন ক্যামেরার পাইন
প্যানে
দুজনের ছলে
ছলছল করে নতুন টো টো
পদ্যের তুষার পেরিয়ে
বাতাস ফুরায় ছাদে উঠলে
ছাদ তখন উড়তে
থাকে বুকযোগিতায়
ইকেবানায় ইকো
বানায়
সব বানালো বুকে আমাদের
ফুলপড়া বাঁশিটির কী হল
গো
র-স্বপ্ন
ছায়ার মায়া গা মেলেছে
রোদ্দুরে
মায়ার ছায়া ঘুরিয়ে
পরানো তাতে তাতছে
তাতছে না
তাতছে
তাতছে না
এ সেই ভেতরের পুষ্টি
ঘুরে ফিরে নিজের ছায়াই
ডাকলো
আলো তাই এত ঋন্ময়
ভাল লাগে ধ্রুবতারাটির
রাত বেকারি
একা টব
টব নয়
শব্দবাহার গাছের
মনে যে গাছ
হাতের নবে টিপ টিপিলেই
পাতা উল্টে যায়
এক্কেবারে নিরোম
পয়ার
ভুল সমীরণ নিজেই দুলছে
এ সেই সূর্যমুখীর
ফুলমাঠ
আমি হাতে না পায়ে লাগুঁ
স্যার
পারি না
বিদা বিদা
কান্না পায় কেন
র-স্বপ্নে
পড়িও পুস্তকের পাতায়
রচিত যে বোমা
তার রানু
নিশপিশ কোঁচড়
রতিনা এত হরকত জাগে
কোত্থেকে
জানে
ভুলা কেয়া
বৃষ্টি ওঠা
আলোবাতাসের অস্তরা
সকালের জেল ঘিরেছে
অনেক পাখির পাখিরা
অনেক লৌকিক বিমান
অনেক আত্মা
আমোদর
নামবো নামবো
আকাশের নিচে কমন কফিকাপ
নিয়ে বসেছি
আর কেমন করে খুলছি
আকাশ
বৃষ্টি ওঠার আগে
তিতলিয়ে গেল সুলতা
শেয়ার বাজার শোয়ার
বাজারে ভিজে যাবার ভয়ে
আর উঠলো না
ভেতরে ভেতরে ভিজে গেল
রামধনু
প্রিজম
আক বাক ডুম মেশানো
মোকামের কথায়
ওগো ধোঁয়াময়
খোলামেলা
বারিশ-ধনুর ধূন
বোজা চোখপালকে পেখম
পালকে বুদবুদ
পালকে আলতো আঙুল
ট্রিগারে
ভয়ে প্রাণ উড়ে যায়
পাখি তার অবোধ ছায়াটাও
নিয়ে গেল
হাফটাইমের ঘন্টা বাজে
বধির স্কুলে
টিকিট কাউন্টারের ভেতর
থেকে খালি আত বেরিয়ে
এল
চালকহীন গাড়ি
স্ট্রেচার ট্রলি
অলেস্টার
এসবে ভয় পাই
ভয়ে আমার রংপ্রিজমটা
ভেঙ্গে গুঁড়োময়
তোমার প্রিজমটা থাক না
থাক না
রংমিলান্তি
খেলা
ইলেকট্রনের ট্রেন
চেপেছে গুরাশ চোখের
টুরিস্ট
সাইট সিইং-এ বেরিয়ে
কবিতার অপরিসীমে তারা
থামতেই পারলো না
ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেল
বিবনে
গুলির আরো কাছে এল
প্রাণ
সবুজ-লালে না
নীল-সবুজে
গায়ে হলুদের
বেনে বৌ
ফুলেদের কাছে ফুলেরা
খেলছে হেলিয়া
ফুট ফূট করছে ফুলগণনার
মানুষহীন জীবন
শুধু প্রজাপত্নীর নবীন
প্রজাপতি
এ রূপ রূপোমার
ওং ব্রহ্ম
দেয়ালের কান বদলে যায়
খুকির আঁকিবুকি গানে
বছরের
ক্যালেন্ডার
বয়সকাল
রেডিওর আধোগান কাঁপছে
নদীর বাতাসে
কাশ উপমার অবকাশে
বিরক্ত হয় সে
বাজনবীণায় টান তান সেট
করছে না কিছুতেই
নারীস্বনে ধোঁয়া
বৃষ্টির ওভার ভার
এলো ফাগাম
নাকি লাল নীল রঙের
শব্দে রংমিলান্তি
খেলছে রামধনু
ঋণঃ
শূন্যকাল,ত্রিপুরা
ফোকাস,ক্ষেপচুরিয়ানস,অ
্যদেশ,ছোটো কবিতা,এখন
বাংলা কবিতার কাগজ