অভিনন্দন জানাই , কচি বই
প্রকাশের জন্য।
01-04-14 12:24 AM
প্রথম এইভাবেই কথার
শুরু। বারীন ঘোষাল মানে
বারীন দাদার সঙ্গে! আর
শেষ কথা যা কেবল আমার
প্রশ্ন ছিল তাঁর
অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে !
দাদার চলে যাওয়ার দুদিন
আগে! উত্তর আসেনি !
হ্যাঁ দাদা, তুমি তো
কখনওই এমন করোনা! উত্তর
না দিয়ে এভাবে নিশ্চুপ
থাকতে পারো না! তোমার যে
সৌজন্যতা সে তো মুগ্ধ
করার মতো !
আমি পৌঁছাতে চেয়েছি
তোমার ভালো পাহাড়ে !
নিমন্ত্রণ করেছ কতবার !
আমার কোনো একটা কবিতা
পড়ে বলেছ, মেয়েটা
জানেইনা , এ লেখা তার
সঙ্গে যায়না!
লোক-কে জানাতে চাও, তুমি
খারাপ কবিতাও লেখো?
উত্তর ছিলনা আমার!
আমিওতো কম জেদি না ,
দাদা! তোমার কথা আমি
থোড়াই মানতাম!
অথচ এই আমারই কবিতা
নিয়ে লিখেছ, মেইল করেছ
আবার নিজের ' আমার সময়ের
কবিতা; বইতেও স্থান
দিয়েছ !
কবিতা লেখার সময় আমার
কারো কথা মনে পড়েনা ! কে
কি বলে, বলবে--নিজেও সব
সময় সন্তুষ্ট হইযে তা
নয়! তবু আমার কথা নিজের
কবিতা নিয়ে আমার ভাবনাই
শেষ কথা!
সব সময় বলেছ, সমৃদ্ধ হক
তোমার কবিতা!
হ্যা, দাদা, কবি মেঘ
অদিতি ঐহিকের জন্য
তোমার উপরে একটি লেখা
চেয়েছে! কি জানি আমি
তোমার , বলতো!
ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ
আমার নিজেরও বলতে
ভালোলাগেনা! শুনতেও
কৌতুহল নেই!
তবু জানা হয়ে গিয়েছিল,
তোমার কবিতা নিয়ে
পাগলামি বৌদি খুব
ভালোবাসতো ! নাম ছিল তার
কল্পনা? তোমার এক ছেলে, ৩
বছর বয়েসেই দিল্লিতে
মামাদের কাছে!
এইতো !
আমি কেবল জানি, তুমি
কবিতার মানুষ! সংসার
নেই তোমার ! আর হয়ত আছে
সেই পাখিদের সাথে , রোজ
ভোর সাড়ে ৪ টায় ঘুম
ভাঙ্গতো তোমার! নিজের
হাতে কফি বানিয়ে বসতে
তোমার টেরাসে , দেখতে
ভোর হচ্ছে , পাখিদের ঘুম
ভাঙ্গছে!
আর আমাকে ঠাট্টা করে
বলতে, তুমিও ভোরে ওঠো,
ভোর দেখো, পাখির চোখ
দেখো তবে অপেক্ষা করো ,
কে তোমাকে কে কাপ চা
বানিয়ে দেবে! হা হা হা ।
দাদা , কত কথা তবু বলাই
হয়ে যেত, তাইনা?
বই দিতে পারিনি তোমাকে !
ঠিকানা দিয়েছিলে! মেঘ
অদিতির কাছে পাঠাতে
বলেছিলে!
তা-ও হয়নি যেমন তুমিও
লোড হয়ে যাবে বলে তোমার
বই আমাকে পাঠাতে
পারোনি!
পত্রলেখা থেকে
প্রকাশিত ৫ কবির বই '
নাকছাবির কথকতা '
সংগ্রহ করে পড়েছ! যখন
আমি নিউ ইয়র্কে ,
নন্দিতা ভট্যাচার্য এই
বইটা করেছিল ! বলেছিলে,
যৌথতে তোমার কয়েকটা
কবিতাই থাকবে। পূর্ণ
গ্রন্থ তো নয়।'
তবু তুমি কি এক অসাধারণ
আলোচনা লিখে ফেললে! এই
সেদিনও বললে, 'তোমার
কবিতা আমার তো ভাল
লাগে। একজন পাঠক হলেই
যথেষ্ট। ফেবুতে বেশির
ভাগই কবিতার গাধা।
হাঁচি দিলেও লাইক দেয়।
তোমার গুণমুগ্ধ অনেকেই
আছেন।'
আর বললে, 'আমাকে এদেশে
কবিতার ভিলেন বলি আমি।
লোকেও তাই বলে।'
আহা, এরকমের ভিলেন আর কি
আসবে!
লিখলে, এই কবিতাতেই যখন
এক অতিচেতনার কপালে
বললে, আমি হতভম্ব হয়ে
গেলাম! কারণ অতিচেতনা
আমার একটি স্বকল্পিত
থিওরি যা একপ্লোর করে
আমি আরো অনেকে সহযোগে '
নতুন কবিতার ' ধারণায়
পৌঁছেছিলাম দীর্ঘকাল
প্রয়োগ পরীক্ষার পরে,
যা ৯০ দশক থেকে এপার
বাংলায় ধারামুক্ত
কবিতার স্বাদ এনে
দিয়েছে ! আর তুমি
অবলীলায় উচ্চারণ করে
গেলে শব্দটা! নিবিষ্ট
ভাবনায় তুমিও আবিস্কার
করলে, দেখো, আমি জানতাম
না! '
বলেছিলে, 'ভাল থেকো, কচি।
মনকে মলিন হতে দিও না।'
দাদা, তোমার মত কবিতার
মানুষ কি আমি হতে
পেরেছি? মন অনেকটা মলিন
আজ !
তোমার চলে যাওয়া কেন
যেন ঠিক হয়নি !