প্রতিষ্ঠা এবং
প্রতিষ্ঠান – উভয়কেই
বিদায় সম্ভাষণ জানিয়ে
শ্বেত পতাকা উড়িয়ে
সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে
একাকী নাবিক। সে জানে
ঢেউ ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার
ভেঞ্চার যার কোনো আড হয়
না।
আর ঠিক এই কারণেই এত
প্রেম ! এত বিষ!
পোস্টকার্ডরাও
বিষন্ন। দায়কে
দায়িত্বে পরিণত করার
সামাজিক ও বিরল ঔদার্য।
অগ্রজের এই মহত্ব একক,
প্রায় অদ্বিতীয়। আর ঠিক
এই কারণেই - এত প্রেম! এত
বিষ!
প্রেম থাক। আমি বিষ
নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলি।
বলাটা দরকার।
শ্রাদ্ধবাসরে ‘ আমি
কলকাতার রসগোল্লা’ বা ‘
বারান্দায় রোদ্দুর’
গান বেমামান। এটা
কাণ্ডঞ্জানের প্রশ্ন।
নির্বোধদের জন্য বলে
রাখা ভালো- গান ২টোর
কোনো রকম গুণবিচার করা
হচ্ছে না। শুধু
প্রেক্ষিত ও মানান /
বেমানান নিয়ে এই
বক্তব্য। মৃত্যুতে কেউ
মহান বা খলনায়ক হয়ে যায়
না। বিশেষত,
সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে
মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক
নেই। কোনো কবি বা
লেখকের লেখা আমার পছন্দ
নয়। না হতেই পারে। খুব
স্বাভাবিক। কিন্তু
তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত
পরে, অযাচিতভাবে,
নিজেদের অপছন্দ ঘোষণা
করার মধ্যে এক ধরণের
রুচিহীন
কাণ্ডঞ্জানহীনতা আছে।
না, ‘কাণ্ডঞ্জানহীনতা’
বড্ড নরম শব্দ হয়ে গেল।
অশিক্ষা আছে।
এত অশিক্ষিতে ভরে
গিয়েছে বাংলাকবিতার
জগত!!
আপনার
কবিতা-গদ্য-কবিতাভাবনা
নিয়ে আমার তর্ক চলতেই
থাকবে। যেমন চলতো খুচরো
সাক্ষাতগুলিতে। সেই
প্রেক্ষিতেই –
একটি আক্ষেপ – কখনো
নিশ্চয়-ই ভালোপাহাড়
যাব। শুধু আপনি থাকবেন
না।
একটি ধন্যবাদ – আপনার
পোস্টকার্ড-আমন্ত্রণে
‘কৌরব’ ৯৯তে আমার
একমাত্র লেখা। যে পালক
আমার টুপিতে আজও।
সেই টুপি আপাতত খুলে
ভাসিয়ে দিলাম গাঙুরের
জলে... যে স্রোতে ভেসে
যাচ্ছেন আদরের নৌকায়,
একাকী নাবিক...
******