চাপ এসেছে গাজা নিয়ে
লেখা চাই দু ’ কলম। আপনি
পাবলিক ; পাঠক হওয়ার
দরকার
নেই , বলুন তো গাজা নিয়ে
গ্যাঁজান যায় ? নিব ভেঙে
উঠে দাঁড়াবে ; আছে সে কলম
? কালি নয় রক্ত ঝরে ; ঝরে
অশ্রু টপটপ ।
ঠিকে ঠিকে ঠোক্কর লেগে
টুকরো ছিটকে যায়
বহুবিধ
ঠিকত্বের উত্তরাধিকার
।
তালগোল পৃথিবীর মানুষ
কাদার দলা ভুলগুলো
ফিউশনে সমাধান চায় ।
গাজা হল আধুনিক
ইস্রায়েলের দক্ষিণের
সেই ভূখণ্ড যা ১৯৬৭-এর
ছ’দিনের যুদ্ধে ;
ইস্রায়েল জিতে নিয়েছিল
ইজিপ্টের কাছ থেকে ।
পরে ইজিপ্ট অবশ্য তার
দাবিদাওয়া ছেড়ে
দিয়েছে। সেখানে
ফিলিস্তিনি আরবরা
বসবাস করে। আরব লোকেরা
শুধু গাজা নয় সমগ্র
ইস্রায়েলী ভূখণ্ডেই
ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করত
এক সময় ; আজ শুধু ওয়েস্ট
ব্যাঙ্কের বিক্ষিপ্ত
অঞ্চলে আর
গাজায়। ইজ্রায়েলই
তাদের বাধ্য করেছে ;
বললে ভুল হবে না । বলুন
এটা ঠিক না ভুল ?
ইহুদি ও আরব দুই
সেমেটিক জাতি,
আব্রাহামের দুই বংশধর
বাস করত এখানে ১৯৪৭-এর
আগে যে ভূখণ্ডের নাম
ছিল প্যালেস্টাইন , এখন
ইস্রায়েলে । শুধু
ইস্রায়েলেই নয় , মূলত
ব্যাপারি ও মেষ পালক এই
দুই জাতির মানুষদের
জীবিকার খাতিরে ঘুরে
বেড়াতে হত ; ঘুরে বেড়াতে
বেড়াতে বসতি স্থাপনও
অস্বাভাবিক নয় ।
চাষবাসের পক্ষে
ইজ্রায়েল বা আরব
উপদ্বীপ দু’টোই
অনুপযুক্ত, তাই
অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির
মানুষদের সঙ্গে তাঁরা
সাম (এখন সিরিয়া) জর্ডন
আনাতোলিয়া (এখনকার
এশিয়ান টার্কি) ইরাক সব
যায়গাতেই ভূমির সন্তান
ছিলেন । ইসলামের
আধিপত্যের সঙ্গে
ইহুদিদের সংখ্যা
ইস্রায়েল ছাড়া কেবল
সিরিয়া আর
আনাতোলিয়াতেই
সীমাবদ্ধ রইল (খ্রী ৫ম
শতক-১৬ শতক) । অটোমান
তুর্কীরা আনাতোলিয়া
বিজয় করার আগেই ইসলাম
গ্রহণ করেছিলেন ;
তাঁদের আধিপত্যের কাল
১৫১৭ থেকে ১৯২০ ,
নেপলিয়ানের আনাতোলিয়া
আক্রমণ পর্যন্ত ,
ইহুদিরা উৎখাত হতে থাকে
সিরিয়া আনাতোলিয়া আর
জর্ডন থেকে । বলুন ঠিক
না ভুল?
এদিকে বৈভবে অভ্যস্ত
হয়ে পড়া ইহুদিরা
ইস্রায়েলে ফিরে না গিয়ে
পৃথিবীর, মূলত ইউরোপের,
সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলিতে
ছড়িয়ে পড়তে লাগল । যদিও
সম্পূর্ণ ইহুদি শূন্য
কোনদিনও হয়নি
ইজ্রায়েল । ঠিক না ভুল ?
ইহুদিরা ইজ্রায়েল
ভূখণ্ডে প্রান্তিক
ভাবে সংখ্যা লঘু হয়ে
পড়েছিল মোটামুটি
১৯১৯-এর আগে পর্যন্ত ,
যখন রাশিয়াতে এক বিরাট
ইহুদিমেধ হয়েছিল ১লক্ষ
ইহুদির । তখন থেকেই
ওদের ইজ্রায়েল
প্রত্যাবর্তন বড় আকার
নেয়ে , ইহুদিরা ধীরে
ধীরে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে
ওঠেন ভূখণ্ডে।
ঠিক না ভুল ?
তবে বসবাসকারী আরবরা
এটা একরকম মেনে
নিয়েছিলেন , যেহেতু আরব
জনাকীর্ণ এলাকায় তাঁরা
বাসস্থান বানাননি ।
১৯৪৭ - এ ইউএনও থেকে UNISCOP
(United Nation Special Committee on Palestine) গঠন
করে তাইতে বলা হয়েছিল
প্যালেস্টাইন ভূখণ্ড
তিন
ভাগ হবে , ইহুদি
অধ্যুষিত ইস্রায়েল ,
আরব অধ্যুষিত
ফিলিস্তিন আর
রাষ্ট্রসঙ্ঘ শাসিত
জেরুজালেম । প্রসঙ্গত
জেরুজালেম ইহুদি
খ্রীষ্টান ও মুসলমান
তিন ধর্মালম্বীদেরই
পুণ্যভূমি। কিন্তু
সেটা কার্যকর হয়নি। ঠিক
না ভুল ?
ইহুদিরা চারণিক জাতি ,
চারণিক জাতি আরবরাও ।
ইহুদিরা প্রায় সবাই এক
সময়ে মিশরে চলে
গিয়েছিলেন , সে
খ্রীষ্টপূর্ব কালের
কথা । মিশরের ফারাও
তাঁদের বিতারিত করেন ,
এবং তাঁদের
ধর্মানুসারে ঈশ্বর
প্রতিশ্রুত
প্যালেস্টাইন ভূমিতে ,
জেরুজালেমে রাজধানী
স্থাপন করে বসবাস আরম্ভ
করেন। ঠিক না ভুল ?
বাইবেলের ওল্ড
টেস্টামেন্ট , তাওরা
(ইহুদি ধর্মগ্রন্থ) ,
কোরান তিন
ধর্মগ্রন্থেই একটি
উল্লেখ : - আদম ও হাওয়ার
(ইভ) উত্তরসূরী নোয়া ।
নোয়ার উত্তরসূরী
পয়গম্বর হজরত ইব্রাহিম
বা আব্রাহাম । তাঁর
স্ত্রী সারা নিঃসন্তান
, তখন আব্রাহামের বয়স ৮০
পেরিয়েছে । সারা মিশর
থেকে আনীত দাসী হাজরাকে
স্বামীর কাছে সমর্পণ
করেন । হাজরার গর্ভে
জন্ম নেন হজরত
ইব্রাহিমের প্রথম
পুত্রসন্তান হজরত
ইসমাইল । তখন
আব্রাহামের বয়স ৮৬
বর্ষক্রম । পরবর্তীতে
সারাও গর্ভবতী হলেন এবং
জন্ম দিলেন পুত্র
সন্তান , নাম হল আইজাক বা
ইশাক । সারা এর পর
আব্রাহামকে নির্দেশ
দেন সপুত্রক হাজরাকে
নির্বাসন দিতে ।
আব্রাহাম
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ছিলেন সারার কাছে ।
সুতরাং তিনি তাই করলেন
। পরবর্তীতে হজরত
ইস্মাইলের বংশধরেরাই
হন
‘ বনি আরব ’ ও আইজাকের
বংশধরেরা ‘ বনি
ইজ্রায়েল ’ । এর পরেও
পবিত্র কোরানে
পরবর্তীকালে আইজাকের
বংশজাত হজরত মুশা (
মোজেইস ) হজরত ইশা ( যীশু )
উল্লেখিত হয়েছেন
পয়গম্বর হিসেবে।
ইহুদিদের ধর্মশাস্ত্র
তাওরা বা খ্রীষ্টান
ধর্মশাস্ত্র ইঞ্জিল ;
কোরানে শ্রদ্ধার আসনে
আছেন । ঠিক না ভুল ?
ইজ্রায়েল সমস্যাকে আরব
ইহুদি বিরোধ বলে দেখা
উচিত না ইসলাম জুডাইসম
বিরোধ বলে দেখা উচিত ,
কোনটা ঠিক?
গাজা নিয়ে লেখায় গাজা
কোন প্রসঙ্গ নয় । আসলে
ক্যানসার , আজ গাজায় তো
কাল ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে
পরশু কোথাও হাজার মাইল
দূরে টিউমার । সভ্যতার
শরীরে ক্যানসার ;
সারে কী সারে না?
লেখা শেষ করে
দিয়েছিলাম। কারণ
আগাগোড়াই বলে এসেছি এই
বিষয়ে কিছু লেখার
সামর্থ আমার নেই। তাও
সম্পাদকের চাপ।
অপারগতার কৈফিয়তেরও
একটা সম্মানজনক শেষ
রাখতে হয়!
তো শিরোনাম যেখানে গাজা
, আসুন দেখে নেওয়া যাক
জায়গাটা কী রকম । আসলে
ভূমধ্য সাগরের কূল
ঘেঁসে একটা ফালি জমি ,
গাজা স্ট্রিপ, এই নামেই
পরিচিত। পরবর্তিকালে
ইজ্রায়েল যুদ্ধে জিতে
নেয়ে মিশরের কাছ থেকে ,
আগেই বলেছি । তা সেখানে
স্বভাবত আরবরাই
সংখ্যাগরিষ্ঠ । মিশর
যদিও তার দাবি
পরবর্তিকালে তুলে
নিয়েছে । আনুমানিক
১১কি.মি। চওড়া আর
৪০কি.মি। লম্বা ফালি
ঊষর ভূখণ্ড । স্বীকৃত
অর্থনীতি কিছু
ভূমধ্যসাগরীয় ফলমূল
ফুল রফতানি । সৈকতে
কিছু পর্যটন কেন্দ্র ।
আর আরব অনুদান ।
বিদ্যুৎ সরবরাহ
ইজ্রায়েল
দেয় । স্পষ্টতই
নাগরিকদের মাথাপিছু যা
রোজগার আশা করা যায় ;
তাতে করে স্বচ্ছল বলা
চলে না। ভূখণ্ডটি
ফিলিস্তিন অঞ্চল বলে
ইউএনওর স্বীকৃতি
প্রাপ্ত এবং ইউএনও
ইজ্রায়েলি অধিগ্রহণ
স্বীকার করে না , যেমন
স্বীকার করে না ওয়েস্ট
ব্যাঙ্কের অধিগ্রহণ ।
১৯৯৪তে ইজ্রায়েল
গাজাকে
স্বায়ত্বশাসনের (
ফিলিস্তিনি শাসন )
অধিকার দিয়েছে ।
ইজ্রায়েলের দিক দিয়ে ‘
হামাস ’ যারা নিজেদের
ফিলিস্তিনের শাসক বলে
মনে করে , কিছু দিন ছাড়
দিয়ে-দিয়ে তাদের রকেট
এবং অন্যান্য
অপেক্ষাকৃত ছোট আক্রমণ
চালায়। প্রতিবাদে
গাজার অবাধ বাণিজ্যে
ইজ্রায়েল
প্রতিবন্ধকতা আরোপ
করেছে । সেই মর্মে
গাজার উপকূলবর্তী
সমুদ্রের কিছু দূর
পর্যন্ত ইজ্রায়েল
নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ।
সেই সীমানার মধ্যে
বিদেশী সহায়তায় গাজার
জ্বালানির অনুসন্ধান
করার চেষ্টায় বাধা দিল
ইজ্রায়েল।
অনুসন্ধানকারী তুর্কি
দলটির উপর রীতিমতন
সামরিক আক্রমণ চালাল ।
প্রতিপক্ষে
ফিলিস্তিনীয় ‘
অপেক্ষাকৃত ’ হালকা
আক্রমণ তীব্রতর হল ,
সেটাও ইজ্রায়েলী
নাগরিক প্রতিষ্ঠানের
ওপরেই । তার জেরেই
২০১৪-এর এই ইজ্রায়েলের
পুরোদস্তুর সামরিক
আক্রমণ ,
আবালবৃদ্ধবণিতা গাজার
নাগরিকদের হতাহতের
খতিয়ান আমাদের প্রায়
জানা।
বিষয়টা এখন পারস্পরিক
অসহিষ্ণুতার এমন
পর্যায় যে, সহাবস্থান
দূরস্থান , এক পক্ষের
অস্তিত্বই ওপর পক্ষের
কাছে অসহণীয় । হামাস
মধ্যপ্রাচ্যে
ইহুদীদের
পুনর্বাসনকেই মেনে
নিতে নারাজ । ওদিকে
ইজ্রায়েলীদের একটি
সম্পূর্ণ ইহুদি
রাষ্ট্রের দাবি , তার
পেছনে আছে বিশ্বের নানা
দেশে তাদের ব্যর্থ
সহাবস্থানের ইতিহাস ।
ফিলিস্তিনিরা রাখছে
পৃথিবীর তামাম ইসলামী
সমাজের কাছে নৈতিক
সমর্থনের আবেদন ;
ইহুদিরা রাখছে
বিশ্বব্যাপী ধনী
ব্যবসায়ী সমাজের কাছে
।
আজ গাজার রক্তক্ষয়ী
সংঘর্ষের পিছনে কারণ
খুঁজতে গিয়ে শুধু
রাজনীতি আর ইতিহাস
উল্টে চললে যা পাওয়া
যাবে তা হলো জঙ্গি
ট্যাঙ্কের ল্যাজা-মুড়ো
হীন চেন , এন্ডলেস
পারস্পরিক দোষারোপ
চাপান-উতোর । আমি বলি কী
গাজা নিয়ে লেখায় গাজা
কোনো প্রসঙ্গ নয় , গাজা
সমস্যা হলো
ক্যান্সারগ্রস্ত
শরীরের এক বিচ্ছিন্ন
টিউমার। আসুন, কেন বলছি
একবার দেখা নেওয়া যাক।
(২)
“ সমস্যা = মুরগি , ভুল =
ডিম। ঠিক = হৃষ্টপুষ্ট
মুরগি ” - এই রকম
স্বতঃসিদ্ধ ধরে পাচ্ছি
; গাজা সমস্যার
সূত্রপাত “ডিম প্রথম না
মুরগি প্রথম ”, আর ‘ ঠিক
’ হল গাজায় ‘
স্থিতিশীলতা ’। গাজা তো
গাজা সমগ্র ‘ নিকট
প্রাচ্যে ’ আরব ইহুদি
সহ কান্নাইট হিটাইট
মোয়াবিয়া সুমের আসির
এতগুলো সংস্কৃতির
অবস্থান , এমন নয় যে
একটার সঙ্গে আর একটার
কালিয় যোগসূত্র
একেবারেই ছিল না , চলতে
চলতে , স্থিতিশীলতার
মধ্যে, সমস্যা রূপ
মুরগির হৃষ্টপুষ্ট হয়ে
উঠে অবধারিত ভুল রূপ
ডিম প্রসব , বাস্তব হতে
পারে না কী ? ইতিহাসে
এটাই ঘটনা।
আসলে ঠিক ভুল এই দুটো
চরম আপেক্ষিক রাশির
আপেক্ষিকতাই
স্থিতিশীলতা । চেতন ,
অচেতন চৈতন্য ,
সমাজব্যবস্থা সবই
প্রকৃতিসৃষ্ট ; সৃষ্টির
রকম ফের । শরীরের কথাই
ধরুন না কেন। একটা
মানুষের ধরণ-ধারণ
(ফেনোটাইপ ) সংরক্ষণ করে
জিন (ডিএনএ) ; এ কথা আমরা
মোটামুটি জানি। কোষ মরে
, জীর্ণ কোষ ঝরে পড়ে , ছাল
ওঠে , হয় রেতঃস্খালন ,
ঋতুস্রাব, ছড়ে গিয়ে
রক্তপাত। চাই নতুন
কোষের সৃষ্টি , সেই
কোষের জন্যে চাই জিনের
হুবহু প্রতিলিপি। সেই
কম্মোটা করতে গিয়েই
মানব শরীরে ভুল করে জিন ,
যেমন সমাজের স্থিতিশীল
দেহে প্রতি নিয়ত
বিধিনিষেধ আইন কানুনের
উল্লঙ্ঘন চলে ! জৈব
জিনের এই ভুলের হার কত
জানেন ? স্তন্যপায়ীর
প্রতি দেহকোষে
প্রতিদিন ৬০,০০০ থেকে
১০০০০০ ! এই ভুলের বেশির
ভাগই শুধরে নেয় জিন ,
সমাজে যেমন আইন আদালত !
যেটুকু শুধরন যায় না
তাই মিউটেশন । মানুষের
শরীরে মিউটেশনের আবার
৪০% মারণঘাতী , ৩১%
ক্ষতিকারক, ২৭%
ভ্যাদামারা উদাসীন ,
বাকি রইল ২% , যা পরিবেশ
পরিস্থিতিকে আরও ভাল
মানিয়ে নিতে ক্ষমতা
দেয়ে, এরাই ধোপে টেকে! এই
ধরণের একআধটা মিউটেশন
বীজকোষেও ( শুক্রাণু
ডিম্বাণু ) উন্মেষিত
হয়ে উত্তরসূরীদের
মধ্যে সংবাহিত হয় ,
সেইগুলোই বিবর্তন আনে।
অন্যান্য জিনগুলোর
সংবাহনে ; উত্তর
প্রজন্ম সিঁড়িভাঙা
অঙ্কে ফেল করে অবলুপ্ত
হয়ে যায় । সমাজ ; সভ্যতার
শরীর । সমাজের জিন ;
সংস্কৃতির নির্দেশক ;
বিশ্বাস মূল্যবোধের
অনুশাসন আর তার থেকে
উদ্ভূত আইন-কানুন!
এই মিউটেশনের আরেক নাম
ফল্ট ; খোদ জেনেটিক্সের
পরিভাষা ! আখের কপি
করতেও
‘ ভুল ’ করা সেই ‘
ফুটুরে ডুম ’ কারবারই
তো ! কি মানুষের শরীরে ;
কি সভ্যতার শরীরে ; মানে
সমাজে ; জিনের একই
দৌরাত্ম ; সেই জিন-দৈত্য
! বেশির ভাগ চেষ্টাই
ভুলটা শুধরে নিয়ে
স্থিতিশীলতা বজায়
রাখা।
এই স্থিতিশীলতার
জায়গায় দাঁড়িয়েই
আমাদের প্রেম করা,
আমাদের সন্তান স্নেহ,
কর্তব্য অকর্তব্য,
আত্ম-পরিজন, বন্ধু
বান্ধব। আমাদের
পরোপকার আমাদের
সমব্যাথা আমাদের
কবিতা । লেখা ছবি আঁকা
গান গাওয়া । এমনকী
আমারা বিশ্বযুদ্ধ
করলেও ; স্থিতিশীলতা
বিঘ্নিত ভেবে স্থিতির
সুরক্ষার জন্যই করি ।
স্থিতি ঠিক রাখতে আমরা
প্রাণ বিসর্জন দিই ।
স্থিতি ঠিক রাখতেই আমরা
আলপিন - ফোটা কৃচ্ছযাপন
হাসি মুখে সহ্য করি । এই
সহ্যের
পেন-কিলার ‘ ঈশ্বর ’।
আত্মবিসর্জনের সময়
অ্যানাসথেসিয়া ‘ ঈশ্বর
’, ‘ আমার ’কে রক্ষা করতে
প্রাণ দিই ‘ আমি ’। এই ‘
আমার ’ স্থিতিশীলতা
ছাড়া বলুন আর কী?
স্থিতির স্বার্থেই ‘
আমি ’ ধর্মেও ‘আমি’
জিরাফেও ।
এই স্থিতির স্বার্থেই ‘
আমার ’ আর ‘ তোমার ’
সীমানায়
শান্তিচুক্তি।
তবুও পালটে যায় সভ্যতার
শরীর ; সমাজ সংস্কার ,
সামাজিক ‘ ভুল ’ থেকে
আসে সমাজের বিবর্তন।
গাজাই বলুন আরব -
ইজ্রায়েলই বলুন অথবা
ইসলাম-জুডাইসম ; সমাজ
বিজ্ঞানের বাইরে তো নয় ;
বলুন ঠিক না ভুল ?
আমি মানুষ , আমার
সংস্কার আমার
প্রেম-অপ্রেম আমার
মনুষ্যত্ব পরিবর্তন -
জিনের ধর্ম মেনেই
স্থিতিশীল । আমি চাই
গাজা সহ সর্বত্র মানুষ
ঘাড় শক্ত করা ছেড়ে
পরস্পরকে নিজের ভিতরে
অনুভব করুক। আসুক
শান্তি সহমর্মীতা।
বলুন ঠিক না ভুল?