বিড়ালের আশ্রম

রাসেল রায়হান

à¦¸à¦¾à¦°à¦­à¦¾à¦‡à¦­à¦¾à ²
একটি সদ্য গাছ বেড়ে ওঠে ইটের পাঁজায়, নির্মীয়মাঠদালানের পাশে...
নির্মাণ শেষ হওয়ার পর কোথাও দেখা যায় না সদ্য গাছটিকে;

...শুধু দালান নড়বড় করে অনেক অপরিচিত দীর্ঘশ্বাঠের উপরে।


বিড়ালের আশ্রম
আমার আশ্রমে অনেক বিকলাঙ্গ বিড়াল। একজনের সামনের ডানপা ভাঙা, একজনের চোখ খুবলে ওঠানো, একজনের একটি কান কাটা, একজনের পেছনের একটি পা নেই, একজনের অর্ধেক পশম পুড়ে যাওয়া... এমন অনেক অনেক বিড়াল। আর ক্ষুদ্রতম বিড়ালটির হৃদয় বরাবর ক্ষত, সেখানে রোজ ভোরবেলা মালিকের মেয়ে হাত বুলিয়ে দিত।
...এই আশ্রমে প্রতিটি বিড়াল আসে প্রভুর সমস্ত ক্ষত এবং à¦¬à¦¿à¦•à¦²à¦¾à¦™à§à¦—à¦¤à ¾ পুষে রাখার শর্ত দিয়ে


শরণার্থী
তারা
হেঁটে আসে
সাঁতরে আসে
দৌড়ে আসে
হামাগুড়ি দিয়ে আসে
মরে যেতে যেতে আসে
বাঁচার জন্য আসে
.
তারা আসে ফুল ছেড়ে কাঁটার দিকে
যেহেতু প্রতিটি কাঁটাই নিজেকে ফুল মনে করে
তাই তারা অভিবাদিত হয় দস্যুর ভূমিকায়।
তবু তারা আসে।

তারা আসে ঝকঝকে ঘাস ছেড়ে মরিচার দিকে
যেহেতু সেসব মরিচার মধ্যে à¦…à¦§à¦¿à¦•à¦¾à¦‚à¦¶à§‡à¦°à ¦‡ স্মৃতি থাকে
রক্ত ঝরানোর, তাই সেসব সবুজ তৃণপুত্ররা
সর্বদা অনভ্যাগত।
তবু তারা আসে।
অনন্তকাল ধরে আসে।

তারা আসবে।
হেঁটে আসবে
সাঁতরে আসবে
দৌড়ে আসবে
হামাগুড়ি দিয়ে আসবে
মরে যেতে যেতে আসবে

...এক দেশ থেকে আরেক দেশে
অনন্তকাল তারা আসবে...
মরে যাওয়ার জন্য আসবে।