নিজের পুরোন লেখা

অরিত্র সান্যাল

‘যমদূত’ শব্দটি লিখে একটা সেমিকোলন দিলে
ফুটে ওঠে আধখানা অদৃশ্য পাখনার ছবি
কালের নিয়ন্তা হিসেবে চরিত্রটির ভূমিকা এতে স্পষ্ট হয়

এই সামান্য থেমে থাকায় আমি
আমার সমস্ত কবিতার ছায়া দেখতে পেলাম ।
দীর্ঘ যাত্রার আগে সাধারণ পাঠকের চাওয়া আজও
খুব সামান্যই। যেমন, পথে যেন গোটা দুই বটগাছ পড়ে মা রে!
প্রভাবের এই রূপ কবির জীবনে পড়েছে । এটি একটি ছবিতে
ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে, অরূপদা , এখন খুব তোমার কথা
মনে পড়ছে কেন? আমার ছোট্ট ঘর ।
জানলায় একটা লাল কাপড় ঝুলছে
দেওয়ালে এসে পড়েছে ঝুমাদিদের দিবালোক
ফাঁকা মৌমাছি তার ওপর এসে বসে –
নির্বাসনেঠচারধার তুমি স্বাদু জল দিয়ে ঘিরে দাও ঠাকুর
কারোর যেন লিখতে গিয়ে আর একা না লাগে

ভীষন কষ্টে গা ঝাপ্টাচ্ছঠ। এমন একটি দৃশ্য
ভাঙা আয়নায় দ্যুতিময় হয়ে উঠতে পারে
শুধু দেখতে হবে বোধ কোনদিক থেকে আসছে ।
কোন ঘুলঘুলি থেকে ।
সবাই দেখল আমারই মতো সাদা গেঞ্জী পরে দূত ঝুঁকে পড়ছে

নিজের পুরোন লেখা – ওহো তাতে পিতলের মালিন্য পেয়ে বসেছে ।
সেখানে হাত দিয়ে দেখি

একটানা বেলুন ফোলালে ভিতরের শূন্যতা কমে যায়

উৎসব মুখরতা শব্দটির পাশে একটি পূর্ণযতি

আমাদের কুকুর কাস্তানখা সেখানে এঁটো চেটে নেয়

তারপর একটি সাফ সুতরো ঘুমের মধ্যে কোথাও
কারোর ছায়া পড়ছে না ।