অর্জুন
বন্দ্যোপাধ্যায় ,
নীলাব্জ চক্রবর্তী ,
রমিত দে - কে নিবেদিত
।
পেশ হচ্ছে।
শ্রেষ্ঠত্বের অনেক
বাহিরে
অনেকের সম্ভাবনায় ১-এর
কবিতা। বাংলা ভাষার
দেবোত্তর
ছোট্ট
কবিতা। এখান থেকে ঠিক
২২ বছর পরে
এই ঘটনার বয়স হচ্ছে
এখানকার ২৬। পাঠিকার
অঙ্গটির কল্যাণ হোক।
পাঠকের জিনিসটির
গৌরব হোক হে
।
না
না
এখানে প্রলাপগুলো
সংলাপ হয়ে উঠছে। পাঠক
আর কবির চোখের
সরকারি মিলন হচ্ছে না।
হেমন্তে কাঁদছে
হেমন্তের পয়মন্ত ধান।
ঘরের কোণে আটকে থাকা
ধানমন্ডী নয়।
শব্দগুলোর ফাঁকে কোনো
হাসি থাকছে না। কান্না
থাকছে না। জীবনের
স্তব্ধতায়
রব
পুড়ে যাচ্ছেন
।
পুড়ছে
তো
পুড়ছে
তো
পুড়ছে
নায়ক
যেখানে চমকে উঠে ম্লান
হচ্ছেন না। ‘শর’
বললে লোভ হচ্ছে। তাঁর।
বাণ
দিলে নাভি জাগছে । তাঁর
। আর
কলম থেকে
উঁকি দিচ্ছে প্রাণ ।
মৃত্যু অবধি লাফিয়ে ওঠা
অঞ্জলিক
চাঁদের অজুহাতে
পৃথিবীর আগুন পেতে
চাইছে। এখানে
প্রার্থনা। শান শওকত।
এই
।
৩-এর দশকের কবিতার মতো
নয়। ঘরের চালে কথা
বলছে
বাসরাস্তার রোদ। ধুলো
মেখে শুয়ে থাকছে
রুপো। মানতাসা।
ভাতকাপড়নোয়া
পুতুলগরু
এখানে
আকর্ণ প্রয়াস হচ্ছে হে
।
রোদে- আর- ছায়ায়- আস্ত-
আস্ত- পেঁপেগাছ-
নির্বিকার- সৈন্য- যথা -
দাঁড়িয়ে - থাকছে - এখানে
।
যেহেতু
রাঢ়ভূমি আমেরিকায় নেই ,
আর
কলকাতা
ভারতবর্ষে নেই , যেখানে
আপনি চুপ থাকছেন
আপনার মানচিত্র ঠিক
আমার মতো হচ্ছে । আমি
খইয়ের উপরে মুড়কির রঙ
দেখছি । আপনার মতো
হতে চাইছি না । দুধ
যেখানে গরম হচ্ছে
দৌড়ে যাচ্ছে খালিপোঁদ
পোলাপানের দল । যে
লোকটা
কথা বলছে
বন্ধ চোখের উল্টোপিঠে
নিজের কথাই শুনছে ।
আপনি আমাকে
ভয় পাচ্ছেন না
।
এই
যে
ইতিহাসের ইচ্ছেকথা
শুরু করছি এখানে , সে
আমার স্বপ্ন
বলছে কি ? অনেক পাখির
অনেক ডাক শুনে
আমি ১ - এর ধর্মযুদ্ধ
বয়ান করছি
এখানে
।
( চিত্রঋণ : ১। প্রাচীন
মন্দিরচিত্র ২। আমার
নিজের তোলা একটি ছবি ৩।
জম্মু -কাশ্মীরের অনামা
শিল্পী , উইকিপিডিয়ার
সৌজন্যে )